রোকনুজ্জামান, জামালপুরঃ গেল আওয়ামী সরকারের সময়ে জামালপুর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মঞ্জুরুল করিম জুয়েলের গ্রেফতার দাবি তুলেছেন জামালপুরের ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ। তাদের দাবি, এই জুয়েল সিপাহী জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদ এবং টাকার জোরে এখনো প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
জানা গেছে, জামালপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ছনকান্দা এলাকার উত্তর কুটুরিয়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুরুল করিম জুয়েল এসএসসি পাশ করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে সিপাহী পদে যোগ দিয়েছিলেন । ১৫ বছর চাকরির পর অবসরে যাওয়া এই ব্যক্তি পরে রাজনীতির ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন ।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছায়ায় থেকে তিনি দুর্নীতি,নানা তদবির বানিজ্য ও জমি দখলের মাধ্যমে বিত্তবান হয়ে উঠেন। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, ভুয়া পরিচয় ও তদবিরের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বদলি ও নিয়োগে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনের।
জামালপুর-৫ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শফিকুল ইসলামের আশীর্বাদে তিনি ঢাকাস্থ জামালপুর সমিতির দপ্তর সচিব পদ লাভ করেন, যেখানে বসেই শুরু করেন তদবির বাণিজ্য। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি জামালপুর সদর উপজেলার ৩নং লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের ছোলেমা আহমদ বালিকা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির পদ দখল করে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বিদ্যুৎকে সরিয়ে দেন।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, এত অভিযোগের পরও কীভাবে তিনি এখনো প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন?
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ঢাকার দক্ষিণখান থানাধীন পূর্ব মোল্লারটেক এলাকায় ২৯ নম্বর ফ্ল্যাট কিনে বর্তমানে সেখানেই বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন তিনি।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীরা অনতিবিলম্বে এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মনজুরুল করিম জুয়েলের সাথে ফোনে এবং হোয়াটসআপে যোগাযোগ করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।